আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৩,অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জনসহ মোট.৩৫ জন, প্রতিদ্বন্দিতা করছেন, এই নির্বাচনে। সদস্য সহ বিশেষ পদগুলো নিয়ে নির্বাচনে মোট
বিজয়ী হবেন,২১জন। মোট, ভোট দিতে পারবে ১,০৫৯জন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বৃহত্তম বণিক সমিতির
প্রতিষ্ঠার পর। বর্তমান সময়ে,এক অনন্য উচ্চতায় অবস্থানকারী, ১১০০শ’র উপরে সদস্য,নিয়ে গঠিত এই প্রতিষ্ঠান । ব্যবসায়ীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদান, স্বার্থ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্ব দিক দিয়ে এগিয়ে আছে, এতদাঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সংগঠন, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতি। এই সংগঠন, সব ধরনের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন । বর্তমানে এই নির্বাচনে, সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন,৩ জন,তারা হলেন মোঃ আরেফিন মিঞা (মিলন), ছাতা মার্কা, হাজী মোঃ মকবুল হোসেন,দোয়াত কলম মার্কা,মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন, চাকা মার্কা,নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে ৪ জন নির্বাচন করছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন,তারা হলেন মোঃ কামাল হোসেন, আনারস মার্কা, ও খন্দকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বাই সাইকেল মার্কা,পতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহ সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন,কোষাধক্ষ্য পদে ২ জন,দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন,ক্রীড়া সম্পাদক পদে ২ জন,ধর্মীয় বিষয় সম্পাদক পদে দুইজন ও সাধারণ সদস্য পদে ১২ জন, নির্বাচন করছেন। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো: সিরাজুল ইসলাম এর তথ্য মতে, সাধারণ সদস্য পদে দুইজন বসে যাওয়াই ১০ জন,বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন । এরপরও উৎসব মুখে একটি সুস্থ, নির্বাচন হবে, বললেন নির্বাচন কমিশনার প্রধান ।
সাধারণ ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে যে, ১২ জন সদস্য পদে নির্বাচন করছিলেন। টাকার বিনিময়ে দুইজন প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিলে, ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। আগামী ২৮ অক্টোবর রোজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রকার ব্যানার এবং মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোন প্রকার র্যালী, মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারকালে কোন প্রকার রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করা যাবে না,নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোন প্রার্থী/ব্যক্তির বিরুদ্ধে বা তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোন মন্তব্য বা উল্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান করতে পারবেনা, প্রার্থী কোন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করতে পারবেন না।
আগামী ২৬/১০/২০২৩ তারিখ,বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার/জনসংযোগ অবশ্যই সমাপ্ত করতে হবে। নির্বাচনের দিন কোন প্রার্থী কোন ভোটারের কাছে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্ত, চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। প্রত্যেক ভোটারকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সাথে আনতে হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবে। এরপর আর ভোট গ্রহণ করা হবে না। নির্বাচন আইন লংঘনকারীর প্রার্থিতা বাতিলসহ, নির্বাচন কমিশন সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।