আজ দশমীপূজা সমাপ্তির পর মায়ের বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো শারদীয় দূর্গা পূজা
আজ ২৪ শে অক্টোবর মঙ্গলবার,সকাল ৯ টায় মহাদশমীর অঞ্জলি শেষে সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটে মহা দশমী পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গা পুজা।
দূর্গা পূজার শেষ দিন দশমী দশমীর দিনে মায়ের বিদায়ের মধ্য দিয়ে পাঁচদিনের দুর্গাপুজোর সমাপ্তি হয় তাই দশমী মানেই ভক্তদের মন খারাপ হৃদয়ে বিষাদের আবারণ। এবার মাকে বিদায় দেওয়ার পালা।
উমা তার বাপের বাড়ি ছেড়ে পুনরায় গমন করেন দেবাদিদেব মহাদেবের কৈলাসে।
এই দিন মাকে বরণের পর শুরু হয় সিঁদুর খেলা ।
আদি পৌরাণিক কাহিনীর ব্যাখ্যাতে উল্লেখ আছে যে মহিষাসুরের সঙ্গে মা দুর্গার নয় দিন নয় রাত্রি যুদ্ধ হওয়ার পর দশম দিনে বিজয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। আর তখন থেকেই নারী শক্তির এই জয়লাভকে বিজয়া বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
দেবী দুর্গার এই বিজয়ের নারী জাতির ধবনীতে আনন্দের উদ্বেলিত হয়ে মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়। একে অপর শধবা নারী মাকে বরণ করার পর তার সিথিতে ও পায়ে সিঁদুর ছুঁয়ে দেন। তারপর নিজেদের মধ্য মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়।
হৃদয়ের রক্তক্ষরণের মাঝেও হাসিমুখে সিঁদুর খেলা ও মিষ্টি মুখে বিদায় জানানো হয় মাকে শুরু হয় অপেক্ষারত আরো একটি বছরের।
এ বছর বটিয়াঘাটা উপজেলার ১ শত ১৪ টি মন্দিরে যথাযত আড়ম্বরের সহিত ২০ শে অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিন মহাসমারহে পালন হলো। বটিয়াঘাটা উপজেলার এস এফ টিভির বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রতিনিধি ও গোন্ধামারী সার্বজনিন দূর্গাপূজা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের বটিয়াঘাটা উপজেলার সভাপতি খলসিবুনিয়া সার্বজনিন দূর্গামন্দির, আমতলা সার্জনিন দুর্গা মন্দির, বয়ারভাঙ্গা হাজরাতলা সার্বজনিন দুর্গামন্দির,সহ বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন।
তবে এ বছর খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা এলাকা জুড়ে প্রতিটি পূজা মন্ডপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্প্রীতির বন্ধনে উদযাপিত হয়েছে শারদীয় দূর্গা উৎসব।
পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব ঘিরে প্রশাসনের নজরদারি ছিল কঠোর অবস্থানে।