বটিয়াঘাটায় বিভিন্ন বলির মধ্য দিয়ে ও মহিষাসুর বধের শুভ সুচণায় মহানবমী পূজা
আজ ২৩ অক্টোবর সোমবার নবরাত্রির মহানবমী পূজা যার মাধ্যমে মর্ত্য লোকের প্রতিটা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মনে অনেক আনন্দ থাকা সত্ত্বেও যেন হৃদয় নীনাদে বিরহের ব্যাকুলতায় কুয়াশার আবরণে আবৃত করছে।কারণ রাত পোহালেই বিজয় দশমী মা দেবী দুর্গাকে বিদায় দেওয়ার পালার আর্তনাদে পালিত হচ্ছে মহানবমী পূজা।
পৌরাণিক তাৎপর্য সূত্রে মহানবমী পূজার ব্যাখ্যায় উল্লেখ রয়েছে মা দেবী দুর্গা কর্তৃক মহিষাসুর বধের উপাখ্যানে অষ্টমী সন্ধি পুজো হওয়া মানেই নবমী শুরু হয়ে যাওয়া। নবরাত্রির শেষে দিনের অর্থাৎ নবম দিনে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধি ধাত্রী রূপে পূজা করা হয়। বিষাদের সুর বাজে সর্বত্র।
দেবী দুর্গা এদিন সিদ্ধিধাত্রী রূপে পদ্ম ফুলের উপর উপবিষ্ট হয়ে হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা, ও পদ্ম ধারণ করেন যক্ষগন্ধর্ব কিন্নর সাপ দেব-দেবী এবং মানুষ সকলেই তার কৃপায় সিদ্ধি লাভ করেন । আবার অনেকে এই দিন সরস্বতী রূপ মনে করে থাকে। কথিত আছে যে নিয়মানুযায়ী দূর্গা পূজা করলে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ হয়।
এবং নবমীর সন্ধ্যেবেলায় দেবীর মহা আরতি ও কোথাও কোথাও পশু বলিদান করা হয়।
বিশেষ তাৎপর্যে মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয় দুর্গাপূজার ১০ দিনের সময় সূচি গণনা।
ষষ্ঠী পূজার পর আর সপ্তমী পুজো দিয়ে শুরু হয় দেবীর বোধন। পুরান অনুযায়ী দেবী দুর্গা এবং মহিষাসুরের দীর্ঘ লড়াইয়ের চূড়ান্ত দিনটিকে চিহ্নিত করা হয় নবমিতে। তারপর পরাজিত হয়েছিল মহিষাসুর। একইসঙ্গে জয় হয় নারী শক্তির। সেই দিন থেকেই শুরু হয় দেবীর উপাসনা।
প্রথা অনুযায়ী ভারতবর্ষ সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু অংশে কিশোরী মেয়েদের দেবী রূপে রূপ দিয়ে পূজা করা হয়। এদিন যাকে বলা হয় কুমারী পুজা। কুমারীর পূজা দুর্গা পূজার আরেকটি অধ্যায়। নবমীতে হোম যজ্ঞের দ্বারা আহুতি দেওয়ার রীতি দশমী তিথিতে হয় দেবীর বিসর্জন। এবং এই দশমী তিথি বিজয় দশমী নামে খ্যাত নবমীর দিন পূজা মন্ডপগুলিতে ভোগের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
সন্ধ্যা ঘনিয়া এলেই দেবী দুর্গার সামনে ধুনুচি নাচের আসর বসবে বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে।