বিশ্বব্যাপী সকল অশান্তীর দাবানল থেকে রক্ষার সংকল্প নিয়ে আজ মহাষ্টমী পূজা পালিত হচ্ছে মহা ধুমধামেঁ
শ্রী নিত্যানন্দ মহালদার বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি, খুলনাঃ
ওঁ যা দেবী সর্বভূতেষু মাত্রিরূপেণ সংস্থিতা নমস্তেশ্যৈ নমস্তেশ্যৈ নমস্তেশ্যৈ নমো নমঃ।পুরোহিত ও ভক্ত কন্ঠে দেবীর এই মন্ত্র সমস্বরে মুখরিত সকল প্রতিটি পূজা মন্ডপ।আজ ২২ অক্টোবর রবিবার সকাল ৮:৩০ মিনিটে কল্পারম্ভও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে মহা অষ্টমী পূজা শুরু হয়েছে।
এস এফ টিভির বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি ও গোন্ধামারী সার্বজনিন পূজা কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট খুলনা জেলা শাখার কার্যকরী সদস্য শ্রী নিত্যান্দ মহালদার বাগেরহাট চুলকাটি শিকদারবাড়ি শারদীয় দূর্গাপুজায় ৫০১ প্রতিমা দর্শন করেন।শিকদার বাড়ির বিশিষ্ট শিল্পপতি লিঠন শিকদারের পিতা সর্গীয় দুলাল কৃষ্ণ শিকদার ২০১০ সালে পূজাটি শুরু করেন তার ই ঐতিহ্য ধরে রাখতে । লিঠন শিকদার পুজাটি মাহা ধুমধামের শহীত করে আসছে,এশিয়া মহাদেশের ভিতরে সবচেয়ে বড় পূজা এটা, এছাড়া চুলকাটি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ২১তম পুজা পরিদর্শন করেন,হেলাতলা সার্বজনিন দূর্গামন্দির, সাহেবের কবরখানা সার্বজনিন দুর্গা মন্দির, দোলখোলা সার্বজনিন দূর্গা মন্দির , শিতলা বাড়ি শ্রী শ্রী সার্বজনিন দূর্গা মন্দিরে অপরূরপ আলোক সজ্জায় সজ্জিত। এসব মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তদের উপছে পড়া ভিড়, এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন, পূজায় আগত ভক্তদের সাক্ষাৎ নেওয়া হয় ও মন্দির কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় । শাস্ত্রমতে মা দেবীদুর্গার
মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা।
রিতি অনুযায়ী সকালে কুমারী পূজা, অঞ্জলি প্রদান রাতে সন্ধিপূজার মধ্য দিয়ে দেবীর অষ্টমী পূজার বিধান রয়েছে। সনাতন শাস্ত্রে নারীকে শক্তি আর সামৃদ্ধির প্রতীকও বিবেচনা করা হয়। একইসঙ্গে নারীর চিরন্তন শুদ্ধতার প্রতীক
মা ভগবতীর বেশপ্রকাশ।
তাছাড়া মহা অষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৬ টি উপকরণ দিয়ে এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প, ও বাতাস এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা।
অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পড়ানো হয় পুষ্প মাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাঅষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেন। এবং পুষ্পান্জলী অর্পণের পর মায়ের প্রসাদ গ্রহণে মধ্যে দিয়ে ভক্তরা উপবাস ভঙ্গ করে।
এ সময় মন্দিরে আগত ভক্তদের নিকটা তাদের মনের আর্তি ও দেবীর প্রতি মনস্কামনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা তাদের মনের সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন বিশ্বব্যাপী যে অশান্তির অগ্নির দাবানলে দগ্ধিত হচ্ছে তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি। এবং আমাদের সমাজে যে সকল মানুষের মাঝে আসুরিক মনোবৃত্তি রয়েছে তাদের শ্রদ্ধাচার মানসিকতা দানের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
মা প্রতিবছর স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যলোকে আমাদের মাঝে আসেন প্রতিটা মানুষের মনের শান্তি সমৃদ্ধি ও শুবুদ্ধি উদয় অভাব অনটন দুঃখ দুর্দশা নিবারন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে।
আজ মহা অষ্টমী তিথিতে সকল মন্ডপে অষ্টমী পূজার অঞ্জলি প্রদান করেছেন মায়ের ভক্তরা।
আগামীকাল ২৩ অক্টোবর সোমবার যথারীতি ভাবে মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।