মহা ধুমধামের সহিত আজ মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গা পূজা আরম্ভ!
শ্রী নিত্যানন্দ মহালদার বটিয়াঘাটা উপজেলা( খুলনা) প্রতিনিধিঃ
আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার পঞ্জিকার তিথিলগ্ন অনুযায়ী সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে কল্পা আরম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ মঙ্গলাচরণ ঘট স্থাপন অধিবাস।
পৌরাণিক শাস্ত্র মতে মনে করা হয় মাতৃপক্ষ ষষ্ঠী তিথিতেই মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে পদার্পণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন চার সন্তান লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক ও সরস্বতীকে।
ষষ্ঠী তিথিতেই ঢাকের বাদ্যির সাহায্যে মা দুর্গা ও তার সন্তানদের স্বাগত জানানো হয় তাছাড়া মা দুর্গার মুখের আবারণ উন্মোচন করা এই দিনের প্রধান কাজ।
তাই এই সকল আনুষ্ঠানিকতার
মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের মানুষদের বছরের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যা আগামী ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দশমী পূজা দর্পণ ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এ লক্ষ্যে আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ভক্তগণ নানাবিধ ভোগ ও পুষ্পার্ঘ নিয়ে মা দেবী দুর্গার ষষ্ঠী পূজার উদ্দেশ্যে আসন নিবেদনের লক্ষ্যে পবিত্র মনে দেবী দুর্গার শ্রীচরণে এসে সংসার তথা সন্তানাদিদের মঙ্গল কামনার্থে দুঃখ কষ্ট নিবারণ এর আর্তী জানাতে আজকের এই ষষ্ঠীর শুভক্ষণে মন্দির প্রাঙ্গণে এসে হাজির হয়েছেন ।
ধর্মীয় পুরাণে কথিত আছে যে দুর্গা শব্দের অর্থ হচ্ছে দুর্গতিনাশিনী দুঃখ-কষ্ট নিবারণ কারিনী তিনি হচ্ছে দেবী দুর্গা।
তাই শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ করে মায়েরা তাদের পুত্র সন্তানদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল কামনা আয়ুবৃদ্ধি শারীরিক নিরোগ এর আর্তি জানাতে মহাষষ্ঠী পূজার উপবাস থাকার পৌরাণিক রীতি রয়েছে। তাই সকালে মন্দিরের পুরোহিতগণ মন্ত্রাদি পাঠ করে মায়ের উদ্দেশ্যে ভোগাদি নিবেদন করেন সাথে ক্ষণে ক্ষণে ঢাকের বাদ্যি কাসর শঙ্খ উলুধ্বনি ও ধুপ ধুনোর মৌময় ঘ্রাণের মুখরতায় মন্দির প্রাঙ্গণ যেন এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে উঠেছে।
মহামায়ার আগমনীতে সকল অশুভ শক্তির নাশ এবং সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী বলা হয়। মহিষাসুরের অসুর বাহিনীকে পরাজিত করেছিলেন তাকে মহিষাসুরমোদিনী বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও মহা সমারহের সাথে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তাছাড়া বটিয়াঘাটা উজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে এ বছর খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় মোট ১ শত ১৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পাশাপাশি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা প্রশাসন মহল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও কঠোর নজরদারির মধ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়োজিত রয়েছে।
৫ দিনব্যাপী প্রতিটি মন্দিরে পূজা অর্চণা সন্ধ্যা আরতি ধর্মীয় আলোচনা ও প্রসাদ বিতরণ করা হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে দর্শকদের ভিড় পরিলক্ষিত হবে। ইতোমধ্য প্রতিমা তৈরি ও মন্দিরের সাজসজ্জা কাজ সম্পন্ন হয়েছে আগামীকাল ২১ অক্টোবর শনিবার মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।যথাক্রমে ২২ শে অক্টোবর রবিবার মহাঅষ্টমী পূজা,২৩ শে অক্টোবর সোমবার মহানবমী পূজা,২৪ অক্টোবর বিজয়াদশমী, বিসর্জের পর মা তার সন্তানদের নিয়ে ফিরে জাবে।