আলমডাঙ্গায় কীটনাশক ছিটিয়ে ১বিঘা জমির ধানগাছ নষ্ট করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
আলমডাঙ্গায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক কৃষকের ১ বিঘা জমিতে বিষ স্প্রে করে ধানক্ষেত নষ্ট ও ২২ টা মেহুগনি গাছের চারা কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডোম্বলপুর নতুন গ্রামে। ধান নষ্ট হওয়ায় দিশাহারা কৃষক আব্দুল গফুর মুন্সী
রবিবার দুপুরে সরেজমিন ভুক্তভোগী আব্দুল গফুর মুন্সী’র ধানখেতে গিয়ে দেখা গেছে, ধানের পাতাগুলো মরে গেছে। ১ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল গফুর মুন্সী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ধানের চারা কিনে জমিতে রোপণ করেছি।তাঁদের খেতের ধানগাছগুলো থেকে আর ১০-১২ দিন পর শিষ বের হতো। গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় ডোম্বলপুর গ্রামের আবুল হোসেন দিৎ ও তাঁর লোকজন অতিরিক্ত আগাছানাশক বা কীটনাশক ছিটিয়ে ধানগাছগুলো ঝলসে দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল গফুর মুন্সী, বলেন ২ একর ৪৪ শতক জমি নিয়ে আবুল হোসেন দিৎ সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। দীর্ঘদিন যাবত পূর্বে আমার পৈতৃক জমিকে নিজেদের বলে দাবি করে করে ভোগ করে আসছিলেন। ডোম্বলপুর নতুন গ্রামের আবুল হোসেন দিৎ। পরে আমি চলতি বছরে আদালতে একটি মামলা করি, দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আদালতের রায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আদালত থেকে লোকজন এসে আমার জমি আমাকে বুঝে দিয়েছে। কেন আমার জমির ধান নষ্ট করল। আব্দুল গফুর মুন্সী প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার দাবি করেন। ধানখেতে বিষ প্রয়োগের ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানান ।
ডোম্বলপুর নতুন গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী শরিফুল বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে ১০-১২ জন লোক আব্দুল গফুর মুন্সী’র ধানখেতে বিষ স্প্রে করে। পর দিন দেখি ধানখেতে ধানের পাতাগুলো মরে হলুদ হয়ে গেছে। জমির মালিক যেই হোক, ধানগুলো নষ্ট করা উচিত হয়নি।