শোল মারি নদী দ্রুত খননের দাবি ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ভয়ানক অবস্থাঁ
নিত্যাানন্দ মহালদার বটিয়াঘাটা উপজেলা (খুলনা) প্রতিনিধি
শোলমারি নদী বিলুপ্তির ফলে, বিল ডাকাতিয়া সহ পানি বন্দি হাজারো মানুষ।আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিনত হচ্ছে। ফসলের খতি হওয়ার আশঙ্কা
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ কিছি দিন আগে ভারি বর্ষনের কারণে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে নেই কোন সুব্যবস্থা।পাউবো বলছে যে গবেষণা চলছে। স্থানীয়রা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে স্লুইসগেট গুলোর কপাট বন্ধ রাখা ও শোলমারি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে। পানি সরবরাহ না হওয়া এই জলবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ। ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর,রঘুনাথ পুর ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কিছু অংশের মানুষ এই জলবদ্ধতার কবলে পড়ে নির্মম জীবন যাপন করছে। এসব এলাকায় মানুষের বসতঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এই জলবদ্ধতার কারনে হাজার হাজার একর আবাদি জমি, অনাবাদি জমিতে পরিনত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে এসব এলাকায় আমন ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।মৎস্য চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দূর্ভোগ। উৎপাদন কমে গিয়েছে সবজি জাতীয় কাচা মালের। নানা মুখি সংকটের আশংঙ্খায় ভুগছে এ অঞ্চলের হাজারো শ্রমজীবী পেশার মানুষ। জলবদ্ধতার কারণে এ এলাকায় বেড়ে গিয়েছে নানান জলবাহিত রোগ। এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে।এই বন্ধি দশা থেকে মুক্তি চেয়ে এ অঞ্চলের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বলছেন এ সব এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান ও সবজি চাষ ব্যহত হচ্ছে।পানি পঁচে ঘেরের মাছ নষ্ট হচ্ছে।শাক-সবজি গাছ মারা যাচ্ছে।এই জলবদ্ধতা নিরসনে জরুরী ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।এ দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন,এ মৌসুমে ৯ হেক্টর জমিতে আমন ও সবজি জায়তীয় কাচা মালের উৎপাদন কমেছে এবং কয়েক হেক্টর আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিনত হতে পারে।এ বিষয়ে এ স এ ফ টিভির সাংবাকিক বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি শ্রী নিত্যানন্দ মহালদার, দাকোপ খুলনা ১ আসনের এ ম পি জাতীয় সংসদের হুইপ জননেতা পঞ্চানন বিশ্বাসেরসের সাথে আলাপকালে এমপি বলেন। আমি ইতি মধ্যে – কথা বলেছি, জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান- অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ।তিনি বলেছেন, জলবদ্ধতা নিরশনে আমাদের জরুরি প্রকল্পের খনন কাজ চলমান রয়েছে। যেহেতু নদী ভরাট হয়ে গিয়েছে সেহেতু স্থায়ী সমাধান কি হতে পারে সে বিষয়ে নিয়ে গবেষণা চলছে।