ছোট ভাই বড় ভাইয়ের সন্ধান পেল ২৫ বছর পর
মুকিতুর রহমান:
১৯৯৮ সালে সোনা মিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।তবে দীর্ঘ ২৫ বছর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে ৬৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির সন্ধান পান তার ছোট ভাই মোরশেদ আলম।বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্মীপুরে ছিলেন সোনা মিয়া।সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়া বাড়ি সংলগ্ন মাওলানা সালাহউদ্দিনের কাছ থেকে বড় ভাই সোনা মিয়াকে বুঝে নেন ছোট ভাই মোরশেদ।
সোনা মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের সিনামাছি গ্রামে।
তার বাবার নাম মৃত একরাম হোসেন। সোনা মিয়া কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই।
জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে সোনা মিয়া লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম কালিম (আলিয়া) মাদরাসার সাবেক শিক্ষক মো. সালাহউদ্দিনের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে এসে মোরশেদ আলম বড় ভাই সোনা মিয়াকে শনাক্ত করেন। ছোট ভাইকেও চিনতে পারেন সোনা মিয়া। এতো বছর পর বড় ভাইকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন তিনি। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
শিক্ষক সালাহউদ্দিন বলেন, ছয় বছর ধরে সোনা মিয়া আমার কাছে আছে। তাকে একটি দোকানের সামনে শুয়ে থাকতে দেখি। এরপর আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। এতো বছর আমার বাড়িতেই ছিল। কারও সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতেন না। বেশিরভাগ সময় চুপচাপ থাকতেন। পরিবারের সন্ধানে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া হয়। তা দেখে তার ছোট ভাই মোরশেদ এসে তাকে সনাক্ত করেন।
মো. ফিরোজ আলম নামে স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, আমরা অনেকেই মনে করি, ফেসবুক একটি অপপ্রচারের জায়গা। কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমেও অনেক ভালো কাজ হয়। আমি সোনা মিয়ার পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোষ্ট করি। আমার পোষ্ট তার স্বজনদের নজরে আসে। ফেসবুকের কল্যাণে সোনা মিয়াকে তার পরিবার ফিরে পেল।
সোনা মিয়ার ছোট ভাই মোরশেদ আলম বলেন, ২৫ বছর আগে তার ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। আমরা তার অপেক্ষায় ছিলাম। আমার ভাইয়ের স্ত্রী শাহজাদা খাতুন এতো বছর ধরে তার পথ চেয়ে ছিলেন। কিন্তু ছয় মাস আগে তিনি মারা যান। তার এক ছেলে রয়েছে। তাকে ফিরে পেয়ে আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।