নীলফামারী জেলা পুলিশ কর্তৃক ভুয়া ডিবি পুলিশের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার
মতিউর রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
ভিকটিম মোঃ সজল ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ নূর ইসলাম, সাং-যাদুরহাট (বাড়াই পাড়া), থানা ও জেলা-নীলফামারী গত ইং ১৩/১০/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় ইসলামী ব্যাংক নীলফামারী শাখায় ৫০,০০০/-টাকা জমা দেয়ার জন্য নিজ বাড়ী হতে অটো রিক্সা যোগে নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গীর মোড়ে নেমে ইসলামী ব্যাংকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অপর অটো রিক্সার জন্য অপেক্ষা করাকালীন সুইট মার্ট মিষ্টির দোকানের সামনে প্রথমে অজ্ঞাতনামা ০২ জন ব্যক্তি এসে ভিমটিমের নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পরবর্তীতে তারা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সামনে ডিবি পুলিশের বড় স্যারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখন ভিকটিম প্রতিবাদ করলে উক্ত স্থানে থাকা রিক্সাওয়ালা ও পথচারী লোকজন জড়ো হতে থাকলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ০২ জন ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ভিকটিমকে জোর পূর্বক ০১টি রিক্সায় উঠিয়ে অপহরণ করে প্রথমে এবাদত প্লাজার পার্শ্বে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সংলগ্ন গলি দিয়ে পূর্ব দিকের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে আরো দুই জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ০১টি লাল রংয়ের এ্যাপাচি ফোর ভি ও ০১টি অজ্ঞাত মডেলের মোটর সাইকেলে নিয়ে এসে ভিকটিমকে জোর পূর্বক তাদের লাল রংয়ের এ্যাপাচি ফোর ভি মোটর সাইকেলে উঠিয়ে মানিকের মোড় হয়ে বাইপাস মডেল মসজিদের পার্শ দিয়ে জনৈক সাহিন মাহমুদের আলুর কোল্ড স্টোরেজের দক্ষিণ পার্শ্বে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়।
একই তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় সেখানে উক্ত অজ্ঞাতনামা ০৪জন ব্যক্তি প্রথমে ভিকটিমের পরিহিত প্যান্টের বাম পাকেটে থাকা নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জোর পূর্বক বাহির করে নেয় এবং ভিকটিমের বিকাশ একাউন্ট নম্বর এ থাকা ৬৫০/- (ছয় শত পঞ্চাশ) টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। একপর্যায়ে কালো লম্বা মোটা মুখে দাঁড়ি ওয়ালা ব্যক্তি তার পকেট হতে নেশা জাতীয় কিছু বস্তু ভিকটিমের হাতে ধরাইয়া দিয়া তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে এবং অপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগন ভিকটিমের নিকট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা পায় মর্মে ১০০/-টাকা মূল্যের ০৩টি নন জুডিসিয়াল ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করে নিয়ে তা ভিডিও ধারণ করে। ভিকটিম সুযোগ বুঝে কৌশলে প্রাণের ভয়ে উক্ত স্থান হতে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় টুপামারী শাপলাপাড়ার নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে প্রবেশ করে চিৎকার করলে উক্ত শাপলা পাড়ার লোকজন জড়ো হলে আসামীগণ পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাদের চিনতে পারে এবং স্থানীয় লোকজন একে অপরের নাম বলতে থাকে। উক্ত ঘটনায় নীলফামারী থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-১৪/১০/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-১৭০/৩৬৫/৩৪১/৩৪২/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় নীলফামারী সদর সার্কেলের নেতৃত্বে নীলফামারী থানা ও ডিবির একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীঃ- ১। নাদিফ জামান ঊষা (২৪), পিতা-মৃত আলিমুজ্জামান মিলন, সাং- সওদাগড়পাড়া, ২। মোঃ তানভির আহম্মেদ (২৩), পিতা-মৃত আব্দুল ওহাব, সাং-বাড়াইপাড়া, ৩। মোঃ ফজলে রাব্বী (২৩), পিতা-মোঃ নিয়ামত আহম্মেদ, সাং- ডালপট্টি, সর্ব থানা ও জেলা-নীলফামারীদের গ্রেফতার করে। গ্রেতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন,জোর পূর্বক ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ১৯ টি ভিডিও ,০১ সেট পুরাতন ব্যবহৃত পুলিশ হ্যান্ডকাপ ,০১টি লাল রংয়ের এ্যাপাচি ফোর বি মোটর সাইকেল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।