সংবিধান সংশোধন করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে-মাও আব্দুুল বাছিত আজাদ
খেলাফত মজলিসের মহাসমাবেশ: ২৭ অক্টোবর দেশব্যাপী গণ মিছিল সংবিধান সংশোধন করে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে – মাওলানা আব্দুুল বাছিত আজাদ
খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ
বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে বহুবার সংবিধান সংশোধন করেছে। এখন দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারো সংবিধান সংশোধন করে দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন
সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশ এক গভীর সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে। এই সঙ্কট রাজনৈতিক, এই সঙ্কট অর্থনৈতিক। একদিকে জনগণের
ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, অপরদিকে দেশের টাকা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। সরকার দাবি করছে তাদের উপর জনগণের সমর্থন আছে, অথচ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা নিজেরাও ভালো
করে জানে, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
খেলাফত মজলিসের আমীর তাঁর বক্তব্যে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার উপর ইসরাইলী বর্বরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। জেরুজালেমকে রাজধানী
করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসান না করা পর্যন্ত ফিলিস্তিনে কখনো শান্তি আসবে না।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে, খেলাফত মজলিস আয়োজিত দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ৮দফা
দাবী আদায়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাও আব্দুল বাছিত আজাদ, পরিচালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাও আব্দুল জলিল, প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এতে জাতীয়, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এদেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ অনেক সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু এখনো মানুষকে এখনো সংগ্রাম করতে
হচ্ছে বাক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার সহ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সংকট
তৈরি করেছে সরকার, তাই সরকারকেই এর সমাধান করতে হবে। জুলুম করে শাসন
দীর্ঘায়িত করা যায় না। জুলুম থেকে মানুষকে মুক্তি দিন। তফসিল ঘোষণার পূর্বেই ক্ষমতা দলনিরপেক্ষ সরকারের হাতে হস্তান্তর করুন। শান্তি ও সম্প্রীতির স্বার্থে জনগণের দাবি মেনে নিন।
উক্ত মহাসমাবেশে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ
আবদুল কাদের। ঘোষিত পরবর্তি কর্মসূচি হচ্ছে:
১। আগামী ২৭ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার দেশব্যাপী গণমিছিল
২। ১৬ অক্টোবর থেকে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল, উলামা-মাশায়েখ ও পেশাজীবিদের
সাথে মতবিনিময়
এছাড়া গাজাসহ ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলা বন্ধের দাবিতে ও ফিলিস্তীনিদের
প্রতিরোধ আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার দেশব্যাপী
বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।