শ্যামনগরে টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে বিক্রি করলেন স্বামী
সাতক্ষীরা, শ্যামনগর স্ত্রীকে পতিতালয় বিক্রয়ের ১৫ দিন পর উদ্ধার করছে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে সেলিম রেজার সাথে প্রেমের মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব ধানখালি গ্রামের মোকছেদ মিস্ত্রীর মেয়ে রমেছার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে রমেছা তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। স্বামী সেলিম রেজা তাকে প্রায় সময় ইটের ভাটা কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে জোর করত। রমেছা যেতে না ছাইলে তার উপর শুরু হয় অমাবিক নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায় রমেছা তার স্বামীর সাথে ইটের ভাটায় কাজ করার জন্যে গত (২১ শে সেপ্টেম্বার) সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়ি থেকে ঢাকার কালামপুরের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
সেলিম পরিকল্পিত ভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে তার ৪ সহযোগীকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। কালামপুর পৌছে রমেছাকে প্রাথমিক পর্যায় একটি বাড়িতে ৩ দিন আটকে রেখে মানসিক ও যৌন নির্যাতন করে। ওখান থেকে ৩ দিন পরে (২৪ শে সেপ্টম্বার) বিকাল ৪ টার দিকে তার ৪ সহযোগীর সাথে আলাপ আলোচনা করে। রমেছাকে তাদের হাতে টাকার বিনিময়ে তুলে দিয়ে তার স্বামী সেলিম রেজা। ওই দিনে তারা রাত ৮টার দিকে রমেছাকে প্রাভেটকারে করে ঢাকার একটি পতিতলায়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে।
রমেছার মা সুফিয়া বিবি (৬০) তার জামাই সেলিম রেজার কাছে ফোন করে রমেছার খোঁজ নিতে ছাইলে তালবহনা শুরু করে রমেছার স্বামী। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতায় জানতে পারে যে সেলিম রেজা আশাশুনি তার নিজে বাড়িতে আছে। সেই খবর পেয়ে (৩০ শে সেপ্টম্বার) আশাশুনি থানায় সেলিম রেজার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সেলিম রেজাকে থানায় হাজির করে ৩ দিনের মধ্যে রমেছাকে হাজির করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলে। ৩ দিন পর রমেছাকে ফেরৎ না দিয়ে সেলিম রেজা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
রমেছা হাঠাৎ এই ০১৯০৪৫৬৯৬৫৯ নং থেকে তার মা সুফিয়া বিবিকে ফোন দিয়ে বলে আমাকে ডুমুরিয়া থানার বরাতিয়া গুচ্ছু গ্রামের একটি ঘরে আটকে রেখেছে। সুফিয়া বিবি স্থানীয়ও সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফির রহমানের সাথে নিয়ে ডুমুরিয়া থানায় অভিযোগ করে পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে আটকানো অবস্থায় রমেছাকে উদ্ধার করে আশাশুনি থানায় হস্তন্তর করে।
এ বিষয় আশাশুনি থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজীৎ মন্ডল বলেন, ডুমুরিয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে দিয়েছিল আমরা তাদের পরিবারকে শ্যামনগর থানায় মামলা করতে বলেছি।
রমেছার মা শ্যামনগর থানার শংকরকাটি গ্রামের নুর মোহাম্মদ , ডুমিরিয়া থানার বরাতিয়া গুচ্ছু গ্রামের পান্না খাতুন ও নাজমা, আশাশুনি ফকরাবাদ গ্রামের রিপন ও সাধানা খাতুন, সালাউদ্দিনকে আসামি করে। শ্যামনগর থানায় এজাহার দিলে থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ মামলা না নিয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে বলেন।